জমি ভাড়া চুক্তিপত্র তৈরির নিয়ম ও ফরম্যাট | Rent Agreement for Land in Bengali
0Md. Saiful islamসেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৫
আমরা অনেকেই আছি নির্দিষ্ট একটি মেয়াদে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে থাকি কৃষি কাজ করার জন্য অথবা ব্যবসা কাজের জন্য যেমন, গুদাম ঘর নির্মাণ, বালু রাখার জন্য, ইট রাখার জন্য বৃহৎ জায়গার প্রয়োজন হয় ।
আপনি যদি জমি ভাড়া দিতে বা নিতে চান, তাহলে অবশ্যই একটি লিখিত চুক্তিপত্র তৈরি করে রাখা উচিত। এটা ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে অনেক সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করবে।
জমি ভাড়া চুক্তিপত্র হলো একটি লিখিত চুক্তি যা আইনি দলিল, যেখানে জমির মালিক (ভাড়াদাতা) এবং ভাড়াটিয়া (যিনি জমি ভাড়া গ্রহণ করছেন)- দুই পক্ষের মধ্যে জমি ভাড়ার শর্ত সমূহ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকবে।
জমি ভাড়া চুক্তিপত্র কী?
এটা এমন একটি লিখিত চুক্তি, উভয় পক্ষের সম্মতিতে যেখানে উল্লেখ থাকবে জমির মালিক কে, জমি ভাড়া নিচ্ছেন কে ও কতদিনের জন্য জমি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে,
কত টাকা ভাড়া দিতে হবে এবং জমি কী কাজে ব্যবহার করা যাবে যদি কোনো সমস্যা হয়, সেটার সমাধান কীভাবে হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকবে।
এই চুক্তিপত্র কেন গুরুত্বপূর্ণ?
(১) ভবিষ্যতে কোনো প্রকার ঝামেলা বা ভুল বোঝাবুঝি হলে এই লিখিত চুক্তিপত্র প্রমাণ হিসেবে কাজ করে
(২) উভয় পক্ষের অধিকার ও দায়িত্ব স্পষ্ট করে
আইনি সুরক্ষা প্রদান করে
জমি ব্যবহার ও ভাড়ার নিয়ম নির্ধারণ করে
চুক্তিপত্রে সাধারণত যা থাকে:
জমির বিবরণ (খতিয়ান, দাগ নম্বর, পরিমাণ ইত্যাদি)
চুক্তির মেয়াদ (কতদিনের জন্য)
ভাড়ার পরিমাণ ও পরিশোধের নিয়ম
জমির কী কাজে ব্যবহার হবে
চুক্তি ভঙ্গের শর্ত
সাক্ষী ও উভয় পক্ষের স্বাক্ষর
জমি ভাড়া চুক্তিপত্র
এই চুক্তিপত্রটি করা হলো আজ [তারিখ] তারিখে, নিম্নলিখিত দুই পক্ষের মধ্যে:
প্রথম পক্ষ (ভাড়াদাতা):
নাম: [ভাড়াদাতার নাম]
পিতা: [পিতার নাম]
ঠিকানা: [সম্পূর্ণ ঠিকানা]
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: [NID নম্বর]
দ্বিতীয় পক্ষ (ভাড়াটিয়া):
নাম: [ভাড়াটিয়ার নাম]
পিতা: [পিতার নাম]
ঠিকানা: [সম্পূর্ণ ঠিকানা]
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: [NID নম্বর]
চুক্তির শর্তাবলী:
১. ভাড়ার জমির বিবরণ:
[জেলার নাম], [উপজেলার নাম], [মৌজা/খতিয়ান/দাগ নম্বর] অনুযায়ী মোট [জমির পরিমাণ, যেমন: ৫০ শতক] জমি ভাড়া দেওয়া হলো।
২. ভাড়ার মেয়াদ:
এই চুক্তির মেয়াদ [মেয়াদের সময়কাল, যেমন: ৩ বছর], যা শুরু হবে [শুরুর তারিখ] থেকে এবং শেষ হবে [শেষ তারিখ] পর্যন্ত।
৩. ভাড়ার পরিমাণ ও পদ্ধতি:
জমিটির জন্য মোট ভাড়া নির্ধারিত হলো বছরে [টাকার পরিমাণ, যেমন: ৫০,০০০ টাকা]। ভাড়া প্রতি বছর/ছয় মাস/মাসে একবার পরিশোধ করতে হবে [পদ্ধতি উল্লেখ করুন]।
৪. ব্যবহার: এই জমি শুধুমাত্র [ব্যবহার যেমন: কৃষিকাজ, গোডাউন, দোকান ইত্যাদি] হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ভিন্ন কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
৫. পুনর্নবীকরণ: চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে উভয় পক্ষের সম্মতিতে চুক্তি নবায়ন করা যেতে পারে। বিতর্ক নিষ্পত্তি:
৫. কোনো ধরনের বিরোধ হলে, তা স্থানীয় সালিশ বা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে।