অঙ্গীকার নামা বা স্বীকারোক্তি পত্র

অঙ্গীকার  নামা বা স্বীকারোক্তি পত্র


অঙ্গীকার নামা কি? 

দুইটি পক্ষের মধ্যে সমঝোতা মূলক শর্ত এবং আইনি জটিলতা এড়াতে অঙ্গীকারকারীর লিখিত জবানবন্দি হলো অঙ্গীকারনামা বা স্বীকারোক্তি পত্র । 

অঙ্গীকারের মূল ভিত্তি হলো কথা দিয়ে কথা রাখা । নির্দিষ্ট কোনো শর্তাবলী: যেমন চুক্তি ভঙ্গের ক্ষেত্রে অপর পক্ষ আইনিভাবে প্রতিকার, ক্ষতিপূরণ ও চুক্তি প্রত্যাহার চাইবে। তাই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ সম্পর্ণ করাই অঙ্গীকার নামা । 

অঙ্গীকার নামা কেন লিখা হয়? 

বিভিন্ন কারণে অঙ্গীকার নামা লেখা হয়ে থাকে ধরুন আপনি একটি ব্যাংক থেকে ঋণ করতে চাচ্ছেন তাই ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাছে শর্ত সাপেক্ষে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে । 

ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে বীমা তৈরি করতে হলে, বিভিন্ন সমিতি গঠনের জন্য, অনেক বেসরকারি চাকুরীতে যোগদানের জন্য, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য, কারো নিকট টাকার বিনিময়ে কোনো চুক্তিবদ্ধ হলে, কিংবা জমি কিনেছে টাকা বাকি রেখে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন এরূপ ক্ষেত্রেও অঙ্গীকার নামা লেখার প্রয়োজন হয়।

কিভাবে অঙ্গীকার নামা লিখবেন 

প্রতিশ্রুতি মূলক কোনো চুক্তিবদ্ধ কে আইনি বৈধতা পাবার জন্য তা অবশ্যই আইনসঙ্গত স্টাম্পে লিখতে হবে । এইরূপ চুক্তিপত্র গুলি সাধারণত ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি স্ট্যাম্প তিন পাতা ৩০০/- টাকার স্টাম্পে লিখতে হয় ।

এখানে একটি ব্যাতিক্রম আদর্শিক অঙ্গীকার  নামা বা স্বীকারোক্তি পত্র তুলে ধরা হলো । আপনার অঙ্গীকার নামা যদি ভিন্ন কারণে হয়ে থাকে তাহলে শুধু কারণ টা ও আপনার শর্তাবলী পরিবর্তন করে নিচের দেয়া নিয়মে একটি সুন্দর সাবলীল অঙ্গীকার  নামা তৈরি করতে পারবেন । 

একটি আদর্শ অঙ্গীকার  নামা বা স্বীকারোক্তিপত্র দলিলের নমুনা:- 

 অঙ্গীকার  নামা বা স্বীকারোক্তি পত্র

প্রথম পক্ষ  : নাম :----------------, পিতার নাম:--------------, মাতার নাম:------------------, জন্ম তারিখ:------, জাতীয় পরিচয়পত্র:------------, ধর্ম:--------, পেশা:-----------, ঠিকানা: গ্রাম:--------, ডাকঘর:--------, উপজেলা:------------, জেলা :------------------। 


দ্বিতীয় পক্ষ : নাম :----------------, পিতার নাম:--------------, মাতার নাম:------------------, জন্ম তারিখ:------, জাতীয় পরিচয়পত্র:------------, ধর্ম:--------, পেশা:-----------, ঠিকানা: গ্রাম:--------, ডাকঘর:--------, উপজেলা:------------, জেলা :------------------।


        আমি দ্বিতীয় পক্ষ এই মর্মে অঙ্গীকার বা স্বীকারোক্তি করিতেছি যে, জেলা---- থানা---- এলাকাধীন মৌজা---- এর মধ্যে ১০ শতাংশ জমির মোট মূল্য ১২,৫০,০০০/- (বারো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্য নির্ধারণ করিয়া তন্মধ্যে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা আপনি প্রথম পক্ষকে বুঝাইয়া দিয়া অবশিষ্ট ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চশ হাজার) টাকা বাকি রাখিয়া উল্লেখিত ১০ শতাংশ জমি অদ্য ---------- তারিখে  সাব কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করিয়া লইয়া নিম্ন লিখিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় অঙ্গীকার বা স্বীকারোক্তি করিতেছি যে, অবশিষ্ট ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চশ হাজার) টাকা আপনি প্রথম পক্ষকে আগামী ০১ (এক) মাস সময়ের মধ্যে একযোগে বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবো । 

তাহাতে কোনো প্রকার ওজর আপত্তি বা তঞ্চকতা করিতে পারিব না । যদি টাকা দিতে কোনো প্রকার ওজর আপত্তি বা তাল বাহানা করি  তাহা হইলে অত্র অঙ্গীকার নামা বা স্বীকারোক্তি পত্র দলিল দ্বারা আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া টাকা গ্রহণ করিতে পারিবেন । 

এতদার্থে স্বেচ্ছায় স্ব-জ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে অত্র অঙ্গীকার নামা স্বীকারোক্তিপত্র সম্পাদন করিয়া দিলাম । 

তারিখ:------------

অত্র অঙ্গীকার নামা চুক্তিপত্র ০৩ (তিন) ফর্দ স্ট্যাম্প দ্বারা লিখিত এবং অত্র চুক্তিনামায় ০৩ (তিন) জন স্বাক্ষী রহিল। 

প্রথম পক্ষের স্বাক্ষর:                 দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর :

(--------------------)                     (-------------------------)


সাক্ষীগণের নাম : 

১।

২।

৩।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!