বায়না চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে করণীয় কি?

বায়না চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে করণীয় কি

আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই বায়না দলিল করার সময় ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে যে চুক্তি হয় তার শেষ পরিনতি কি হতে পারে।

সমাজে এমন অনেক অসৎ লোক আছেন যারা বায়না চুক্তি করার পরই তাদের সব কাজ শেষ হয়েছে বলে মনে করেন।
টাকার জন্য বায়না দলিল করার সময় তাদের মধ্যে যে আগ্রহ লক্ষ্য দেখা যায়, পরবর্তীতে সাব কবলা দলিল রেজিস্ট্রি দেওয়া নিয়ে সেই আগ্রহ তাদের মধ্যে থাকনো।
বিষয়টা অনেকটা এরকম যে টাকা সব নিয়েছি জমিটা কোন রকমে রেজিস্ট্রি না দিতে পারলেই হয়।

বায়না চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে করণীয় কি?  

অনেকেই জমি ক্রয়ের সঠিক নিয়ম কানুন না জেনেই আমরা যারা জমির পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলি।

আর সবচেয়ে বড় ভুল যদি জমি ক্রয় করার পর কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি বা টাকার সংকটে রেজিস্ট্রি করতে বিলম্ব ঘটে তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে বায়নাচুক্তি দলিল খুবই প্রয়োজন ।

অনেকেই বায়না করার সময় বায়না দলিলে কোন সময়সীমাও আমরা উল্লেখ করিনা। পরে গিয়ে বিপদে পড়তে হয় ।
১৯০৮ সালের সম্পত্তি হস্তান্তর আইন এর ৫৪ ধারা বলা হয়েছে স্থাবর সম্পত্তির বায়নাপত্রে বিক্রয় দলিল সম্পাদন এবং রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে একটি সময় উল্লেখ করতে হবে।

তবে বায়নাচুক্তি দলিলে যদি কোন সময়সীমা উল্লেখ করা না হয় তাহলে বায়না সম্পাদনের তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করতে হবে। তবে যেহেতু বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয় নি। তাই এই সুযোগ নিয়ে অনেকেই যার যার স্বাথের্ কথা চিন্তা করে সময় উল্লেখ করেনা।
তবে দুই পক্ষেরই উচিত একটি সময়সীমা নির্ধারন করা।

তবে তামাদী আইন অনুযায়ী অন্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন বায়না দলিলে উল্লেখিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার ১ বছরের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে প্রতিকার পাওয়া যাবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!