নামজারী আগে নাকি খাজনা আগে?
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে যে, জমির নামজারী করা হয়নি । এখন আগে নামজারী করবো নাকি আগে খাজনা দিবো ?
এখন আসল কথা হলো, যদি আপনি নামজারী করতে যান তখন কিন্তু হাল সনের খাজনার রশিদ এর প্রয়োজন হবে ।
নামজারী নাকি খাজনা আগে?
আপনি যদি আপনার জমির নামজারী করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হবে সেটি আগে জেনে নেই-
প্রথম: যদি দলিল সূত্রে জমির মালিক হয়ে থাকেন তাহলে যে দলিল মূলে মালিক হয়েছেন সেই দলিলের নকল কপি লাগবে ।
দ্বিতীয়ত: উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হলে উত্তরাধিকার ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হবে অথবা আপনার পূর্ব পুরুষ যদি দলিল মূলে জমির মালিক হয়ে থাকেন তাহলে সেই দলিলের নকল কপি লাগবে ।
তৃতীয়ত: আপনার এলাকা ভিত্তিক সর্বশেষ রেকর্ডীয় খতিয়ানের প্রয়োজন হবে । এখন ধরুন, আপনি একটি জমি আট বছর আগে ক্রয় করছেন এখন সেই জমি যদি আপনি নামজারী করতে যান, সেই ক্ষেত্রে আপনার নামে নামজারী করতে গেলে পূর্ব মালিকের নামে রেকর্ডীয় খতিয়ান প্রয়োজন হবে এবং হাল সন পর্যন্ত খাজনার দাখিলের রশিদ (হাল সন বলতে আমরা জানি প্রত্যেক বাংলা বছরের ০১ বৈশাখ থেকে চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ০১ বছর ধরা হয়)
এখন এই হাল সনের খাজনার রশিদ যদি আনতে যান তাহলে পূর্ব মালিকের নামেই খাজনা দিয়ে হাল সনের দাখিলা /খাজনার রশিদ নিতে পারবেন এবং তারপর আপনার নামে নামজারী খারিজ করতে পারবেন ।
তাহলে বুঝা গেলো জমি কেনার পর নামজারী করতে দেরি হলে সেটার খাজনা দিতে হবে পূর্ব মালিকের নামে আর সেটা বেশ ঝামেলারও বটে ।
নামজারী না করলে অসুবিধা
জমি ক্রয়ের পর তা যথা সময়ে নামজারী না করলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।
যেমন ধরুন, জমির পূর্ব মালিক তার নামে যেহেতু খতিয়ান আছে, আপনার নামে খারিজ করা না হলে সেই খতিয়ান দিয়ে কিন্তু সে জমিটি অন্য জায়গায় বিক্রিও করতে পারে, অথবা সেই খতিয়ান দিয়ে সে ব্যাংক লোন নিতে পারে কিংবা জমিটা ব্যাংক মর্টগেজ বা বন্ধকও রাখতে পারে এমন বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হতে পারে ।
তাই একজন মানুষের উচিত হবে জমি ক্রয় করার পর সাথে সাথে দলিল রেজিস্ট্রি করে দলিলের নকল কপি তুলে জমিটা নামজারী বা খারিজ করে নেওয়া সবচেয়ে ভালো উপায় । তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না ।
নামজারী ছাড়া জমি রেজিস্ট্রি হবে কিনা ?
বর্তমান সময়ে নামজারী ছাড়া কোনো জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব না ।